ষাট পেরনোর পর ৬২ জনের হাতে প্রাথমিকের নিয়োগপত্র! প্রাপকের তালিকায় চার মৃতও
এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে শিক্ষা সংসদ।
Published by: Tiyasha Sarkar
Posted: January 18, 2024 8:27 pm Updated: January 18, 2024 8:27 pm
সুমন করাতি, হুগলি: অবসরের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই এখন প্রবীণ। এই বয়সে প্রাথমিক স্কুলে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলেন হুগলির (Hooghly) ৬২ জন। আরও চারজনের নামে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে. যাঁরা মৃত। এই নিয়েই শোরগোল হুগলিতে। এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে শিক্ষা সংসদ।
সম্প্রতি হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ার পার্সন ৬৬ জনের নিয়োগ পত্র দেন। যাঁরা সকলেই ষাট ঊর্ধ্ব। চারজনের মৃত্যুও হয়েছে। এই নিয়োগপত্র নিয়ে অনেকেই উল্লিখিত স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। কেউ আবার সার্কেল অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করেছেন। ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পরেছে। নিয়োগপত্র পেয়েছেন এমন একজন হলেন পাণ্ডুয়ার বাসিন্দা দীনবন্ধু ভট্টাচার্য। তিনি পাণ্ডুয়া সার্কেলে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে বলেন, “সে সময় বামফ্রন্ট সরকার ছিল, আমরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছিলাম। আমরা চাকরি পাইনি। পরে প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। এখন শিক্ষা সংসদ থেকে নিয়োগ পত্র পেয়েছি। কী করে হল জানি না।” ৭১ বছরের বৃদ্ধ অচিন্ত আদক বলেন, “আমরা ৮৩ সালে মামলা করেছিলাম। এখন চাকরি দিচ্ছে, কী করে দিল জানি না। ষাট বছরে তো অবসর হয়, আর এই বয়সে কী করে চাকরি করব?বিষয়টার সত্য উদঘাটিত হোক।”
তবে এই বিষয়ে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ার পার্সন শিল্পা নন্দী অবশ্য এখনই কিছু বলতে চাননি। যা বলার পরে বলবেন বলে জানিয়েছেন। হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, “আদালতের যে রায় সেটাকে কার্যকর করা দায়িত্ব। সেই রায়কে কার্যকর করেছে দপ্তর।” তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর হাই কোর্ট রায় দেয় প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার। সেই মত ৬৬ জনের নিয়োগপত্র ছাড়া হয়, যাঁরা ২০১৪ সালের ৮ ই আগস্ট থেকে এফেক্ট পাবেন। আদালতের নির্দেশ মতোই এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।


No comments:
Post a Comment