পেঁয়াজ নিয়ে দিল্লিতে শেখ হাসিনার রসিকতা - All News Paper

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Saturday, October 5, 2019

পেঁয়াজ নিয়ে দিল্লিতে শেখ হাসিনার রসিকতা

 ‘রাঁধুনীকে বলে দিয়েছি, খাবারে পেঁয়াজ বন্ধ’

‘রাঁধুনীকে বলে দিয়েছি, খাবারে পেঁয়াজ বন্ধ’
পেঁয়াজ নিয়ে দিল্লিতে শেখ হাসিনার রসিকতা
পার্থ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:২১
ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুনের বেশি হয়ে যাওয়ায় রফতানি বন্ধ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। শুক্রবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে সেই পেঁয়াজ নিয়েই নরেন্দ্র মোদি সরকারকে রসিকতার সুরে খোঁচা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠক হলেও মোদি সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে এই প্রথম ভারত সফরে এসেছেন প্রতিবেশী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

মজা করে বলেছেন,আপনারা কিছু না জানিয়েই পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করে দিলেন। এতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আমি জানি না, কেন পেঁয়াজ যাচ্ছে না। তবে আমি রাঁধুনিকে বলে দিয়েছি, খাবারে পেঁয়াজ দেবে না। বক্তব্য রাখতে উঠে এমনই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে পরিস্থিতি দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ রেখেছ ভারত। অগ্নিমূল্য পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বিদেশে পেয়াঁজ রফতানি বন্ধ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড। এছাড়াও পেঁয়াজ মজুতের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পেঁয়াজের পাইকারি বাজারেও।

মাত্র ঘণ্টাখানেকে ব্যবধানেই পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৮ বাংলাদেশি টাকা দাম বেড়ে যায়। যার জেরে বাংলাদেশের অধিকাংশ বাজারেই প্রায় ৮০  বাংলাদেশি টাকাতে বিক্রি হচ্ছে এক কেজি পেঁয়াজ। মোট চাহিদার প্রায় ৬০-৭০% পেঁয়াজ প্রতি বছর উৎপাদন করে বাংলাদেশ। বাকিটা ঢাকাকে আমদানি করতে হয়। যা পুরোপুরি ভারতের ওপরই নির্ভরশীল। ইদানিং যদিও ইজিপ্ট ও টার্কি থেকেও স্বল্প পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে বাংলাদেশ।

এদিকে লগ্নির জন্য ভারতীয় উদ্যোগপতিদের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষা, অটোমোটিভ এবং হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে বিনিয়োগ লগ্নির বিপুল সুযোগ আছে বলে মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে লগ্নির জন্য সবচেয়ে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী, বিশেষত ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের শিক্ষা, হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোটিভ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলেজেন্সে। শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলোয় বিনিয়োগ করার সময়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মুক্ত ও উদার বিনিয়োগের পরিবেশ।

বর্তমানে বিনিয়োগবান্ধব বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য আইনি সুরক্ষা, উদার রাজস্ব ব্যবস্থা, যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়, আনরেস্ট্রিকটেড এক্সিট পলিসি, সম্পূর্ণ বিনিয়োগ ও পুঁজি নিয়ে চলে যাওয়ার সুবিধা-সহ নানা সুবিধা রয়েছে।

পিডিএসও/তাজ

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages