একাত্তর অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:১১ পিএমআপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
এবার এডেন উপসাগরে একটি ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। ভারতীয় নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, হুতিদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটিতে ২২ জন ভারতীয় এবং একজন বাংলাদেশি ক্রু রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শুক্রবার মার্লিন লুয়ান্ডা নামের জাহাজটি এডেন উপসাগরে পৌঁছানোর পরপরই জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এতে হামলা চালায় হুতিরা। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে জাহাজটিতে আগুন লেগে যায়। শনিবার সকালেও এর একাংশে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, ইয়েমেনে মার্কিন-ব্রিটিশ আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় মার্লিন লুয়ান্ডাকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালিয়েছে তারা।
এদিকে হামলার পরপরই ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিশাখাপত্তমের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানায় মার্লিন লুয়ান্ডা। তাতে দ্রুত সাড়া দিয়েছে বিশাখাপত্তম।
এনডিটিভি বলেছে, এখন তেলবাহী জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে যুদ্ধজাহাজটি।
ভারতীয় নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, বাণিজ্যিক জাহাজের সুরক্ষা এবং নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা অবিচল এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রাফিগুরা বলেছে, এ হামলায় কোনো ক্রু হতাহত হননি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এর আগে গেলো অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী ও সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে ইসরাইলি জাহাজে হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা ইসরাইল অভিমুখী যেকোনো দেশের জাহাজকে টার্গেট করার ঘোষণা দেয়। এর পরপরই ইসরাইলের পক্ষ নিয়ে হুতিদের লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য।
সবশেষ চলতি সপ্তাহে হুতি বিদ্রোহীদের ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরবিএস



No comments:
Post a Comment