প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অ্যারন বুশনেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও সেই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক ভূমিকার প্রতিবাদে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন মার্কিন বিমানবাহিনীর কর্মী অ্যারন বুশনেল। এমন সুচিন্তিত আত্মদানের আগে তিনি জীবনের সব সঞ্চয় যুদ্ধাহত ও বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনি শিশুদের সহায়তার জন্য দান করে গেছেন। আর এজন্য তিনি লিখিতভাবে একটি উইল বা দানপত্র সম্পন্ন করে গেছেন।
প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ২৫ বছর বয়সী অ্যারন বুশনেল গত রোববার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেন। গায়ে আগুন দেয়ার ভিডিওটি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারও করেছিলেন। সে সময় তিনি ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বলেও স্লোগান দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যারন বুশনেল তার উইলে স্পষ্ট করে গেছেন যে, তার সঞ্চিত সব অর্থ প্যালেস্টাইন চিলড্রেনস রিলিফ ফান্ড নামে একটি দাতব্য সংস্থায় দান করেছেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে গাজায় মানবিক চিকিৎসা ও ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই অ্যারন বুশনেলের গায়ে আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। বুশনেল নিজেই ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করেন। ওই ভিডিওর বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গায়ে আগুন দেয়ার আগে তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আমি আর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকব না, থাকতে চাই না।’
গায়ে আগুন ধরে যাওয়ার পরও বুশনেল চিৎকার করে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বা ‘ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা কর’ বলছিলেন। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। এর আগে, গত ডিসেম্বরেও আটলান্টায় ইসরায়েলি কনস্যুলেটের সামনে এক প্রতিবাদকারী নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সান অ্যান্টোনিওর বাসিন্দা অ্যারন বুশনেল। ২৫ বছর বয়সী এই তরুণ বিমান সেনা লিংকডইন আইডিতে নিজেকে ‘একজন উদীয়মান সফটওয়্যার প্রকৌশলী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি ২০২০ সালের মে মাস থেকে মার্কিন বিমানবাহিনীতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।


No comments:
Post a Comment