সীমান্ত পরিস্থিতি পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে: ডিজি - All News Paper

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Wednesday, February 7, 2024

সীমান্ত পরিস্থিতি পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে: ডিজি

 ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বান্দরবান: সীমান্ত পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।


তিনি বলেন, সীমান্তে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদা তৎপর রয়েছে।


 

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিজিবির কক্সবাজার অঞ্চলের আওতাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  


বিজিবি মহাপরিচালক সকালে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) আওতাধীন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ডিজি সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।  


তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সে দেশের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজিপি সদস্যদের দেখতে যান।  


পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।


এসময় বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপি, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। বিজিবি তাদের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে যারা আহত, তাদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।


বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪

লিঙ্ক:

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages