‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে সরকারকে দুটি আইনি নোটিশ - All News Paper

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Thursday, January 25, 2024

‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে সরকারকে দুটি আইনি নোটিশ

 স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪

ঢাকা: সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে ‘শরীফ ও শরীফার গল্প’ বাদ এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বইয়ের দোকান থেকে প্রত্যাহার করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবির) চেয়ারম্যান বরাবরে পৃথক নোটিশ পাঠিয়েছেন একজন আইনজীবী ও একজন অভিভাবক।


সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে শরীফা ও শরীফার গল্প বাদ দিতে একটি আইনি নেটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।


এই আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে শরীফার গল্প বলা হয়েছে। এখানে শরীফ আহমেদ একজন ছেলে এবং তার সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অনুযায়ী সে একজন ছেলে। কিন্তু সে মনে করে যে, সে একজন মেয়ে। তাই তার নাম পরিবর্তন করে রেখেছে শরীফা। এখানে স্বীকার করা হয়েছে যে, শরীফ আহমেদের শারীরিক কোনো পরিবর্তন হয়নি। শুধু মানসিকভাবে মনে করে সে একজন মেয়ে।


আইনি নোটিশে বলা হয়েছে যে, উক্ত গল্পের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ট্রান্সজেন্ডারের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়েছে। সুকৌশলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি প্রেরণা সৃষ্টি করা হচ্ছে । ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া এক নয়, এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। হিজড়ারা জন্মগতভাবেই কিছুটা বিকৃত অঙ্গ নিয়ে জন্মায়। এটা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডারদের শারীরিক কোনো ত্রুটি থাকে না, তারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। উদাহরণস্বরূপ একজন ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ মনে করে সে একজন নারী। অপরদিকে একজন নারী ট্রান্সজেন্ডার মনে করে সে একজন পুরুষ।  


দেশের পাঠ্যপুস্তকে ট্রান্সজেন্ডারদের কার্যকলাপ প্রচারের মাধ্যমে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে। তাই মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাসে আঘাতের মাধ্যমে দণ্ডবিধির ২৯৫-এ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে, যা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।


এ আইনি নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে শরীফা ও শরীফার গল্প বাদ দেওয়াসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বইয়ের দোকান থেকে এই বই প্রত্যাহার করতে হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সংশোধিত বই সরবরাহ করতে হবে। অন্যথায় এই বিষয়ে ব্যাবস্থা নিতে মহামান্য হাইকোর্টে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে জানান আইনজীবী মাহমুদুল হাসান।


অপরদিকে খুরশিদ আলম নামে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর এক অভিভাবকের পক্ষে আইনজীবী আ আল মামুন অপর আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন।


নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে শরীফা ও শরীফার গল্প বাদ দেওয়াসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বইয়ের দোকান থেকে এই বই প্রত্যাহার করতে হবে, অন্যথায় বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আ আল মামুন।


বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪

ইএস/এমজেএফ

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages