আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের যে কঠোর পরিণতি
http://www.bdnewstimes.com
নিজস্ব প্রতিবেদক: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রতিষ্ঠিত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বিকশিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের ইতিহাস একটি পর্যায়ে গিয়ে একাকার হয়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষের জাগরণ, ভাষার আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলনসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। জাতির পিতার এই সংগঠনটি জনগনের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। জনগনের শক্তিতে বিশ্বাস করে। সর্বস্তরের জনগনই আওয়ামী লীগের প্রধান শক্তি। আওয়ামী লীগকে কখনো ক্যাডার রাজনীতির ওপর নির্ভর করতে হয়নি। ক্যাডার রাজনীতিকে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
তারপরও বাস্তবতা হলো, বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগে কিছু কিছু ক্যাডারের উত্থান হয়েছে। তাদের পরিণতি হয়েছে অত্যন্ত করুণ। স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগে ক্যাডার রাজনীতির কোন অস্তীত্বই দেখা যায়নি। বরং লাখো জনতার উত্তাল জনস্রোতই ছিল আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন গঠিত হয় তখন আওয়ামী লীগের মধ্যে ক্যাডার রাজনীতির চর্চা শুরু হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, সেই সময় জাসদের গণবাহিনী এবং জাসদের হত্যাযজ্ঞ, সরবরাহদের বিস্তার ইত্যাদির প্রেক্ষাপটেই আওয়ামী লীগের মধ্যেও অস্ত্রধারী ক্যাডারদের উদ্ভব ঘটে।
স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের প্রথম আলোচিত ক্যাডারের নাম শফিউল আলম প্রধান। তিনি সেই সময় ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার হাত ধরেই সাতখুনের ঘটনা ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যে ঘটনা আওয়ামী লীগকে কলংকিত করেছে। শফিউল আলম প্রধান পরবর্তীতে আর আওয়ামী লীগে থাকেননি। তিনি আওয়ামী লীগ বিরোধী কট্টর প্রতিক্রিয়াশীল এক রাজনীতির ধারায় গা ভাসিয়েছেন।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগকে নি:শেষ করে দেওয়ার জন্য জিয়াউর রহমান যা যা করা দরকার তাই তাই করেছিলেন। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে জেলে বন্দি করেছিলেন। এই সময় আওয়ামী লীগ নামে সংগঠনের অস্তীত্ব টিকিয়ে রাখাই ছিল দুরহ। জোহরা তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যখন পুনর্গঠিত হয়, সে সময় আওয়ামী লীগের অস্বীত্বের কারণেই প্রথমবারের মতো দলীয় আদর্শের সঙ্গে সমঝোতা করা হয়। সে সময় আওয়ামী লীগে বেশকিছু ক্যাডারের উদ্ভব ঘটে। এই সমস্ত ক্যাডাররা অনেক সময় আওয়ামী লীগের ওপর যে আঘাত সেই আঘাতের পাল্টা আঘাত করার জন্য ব্যবহৃত হতেন। অনেক সময় ক্যাডাররা রাজনীতিবিদদের জন্য মাঠ তৈরী করার কাজও করতেন। এই সময় ক্যাডারদের মধ্যে আলোচিত ছিলেন কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ। হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ এক সময় ঢাকা শহরের নামকড়া ক্যাডার ছিলেন। তার নিজস্ব বাহিনী ছিল। কিন্তু হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থাকতে পারেননি। ২০০৭ সালে বিএনপিতে যোগ দেন হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ। বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদও পেয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপির সঙ্গেই ছিলেন। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ।
পঁচাত্তর পরবর্তী আরেক আলোচিত ক্যাডার হলেন লিয়াকত হোসেন। তিনিও একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য জরুরি ক্যাডার ছিলেন। কারণ সে সময় আওয়ামী লীগ কোথাও জনসভা করতে পারতেন না। জিয়াউর রহমানের
Post Top Ad
Responsive Ads Here
Saturday, September 28, 2019
আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের যে কঠোর পরিণতি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post Bottom Ad
Responsive Ads Here
Author Details
Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.


No comments:
Post a Comment